মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তেও লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গুরুতর আহত সিনওয়ার ইসরায়েলি ড্রোনকে আঘাত হানার জন্য একটি লাঠি ছুড়ে মেরেছিলেন। শুক্রবার ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার দক্ষিণ গাজার রাফাহ অঞ্চলের তাল আল-সুলতানে টহল দিচ্ছিল। সৈনারা তিন সন্দেহভাজনকে ভবনগুলোর মধ্যে চলাচল করতে দেখে এবং গুলি চালায়। এর জবাবে ওই তিনজন গুলি ছুড়লে একটি বন্দুকযুদ্ধ হয়। এদের এক জন এক পর্যায়ে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনে পালিয়ে যায়। পরে ওই ভবন লক্ষ্য করে ট্যাঙ্কের গোলা ছোড়া হয়। ভবনটির ভিতরে হামলাকারীদের অবস্থান জানতে ড্রোন পাঠায় ইসরায়েলি সেনারা।
ড্রোনটির ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, গুরুতর আহত সিনওয়ার একটি চেয়ারে বসে আছেন, তার মুখ স্কার্ফে ঢাকা ছিল। তিনি ড্রোনের দিকে লাঠি নিক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন, এটিকে ছিটকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এতে ব্যর্থ হন সিনওয়ার। কিছুক্ষণ পরে ইসরায়েলি সেনারা ওই ভবনে প্রবেশ করে সিনওয়ারসহ তিন জনকে গুলি করে হত্যা করে। তবে প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলি সেনাদের ধারণাই ছিল না, যে তারা তাদের এক নম্বর শত্রুকে হত্যা করেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিনওয়ার। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাকে তন্নতন্ন করে খুঁজেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত মাসে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়াহ ইসরায়েলি হামলা নিহত হন। এরপরই দলের দায়িত্ব নেন সিনওয়ার।