মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে আগের ভাড়ায় ফিরছে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাস। ফলে অতিরিক্ত ভাড়ার বোঝা থেকে রেহাই পাবেন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখার বাধ্যবাধকতাও উঠে যাচ্ছে। শতভাগ আসন পূর্ণ করে যাত্রী নিতে পারবে গণপরিবহন। তবে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে মানতে হবে মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ কিছু নির্দেশনা।
এর আগে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ২৪ মার্চ থেকেই বাংলাদেশে গণপরিবহন চলাচল কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই মাস পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে গত ৩১ মে থেকে গণপরিবহন ও ট্রেন চালু করার অনুমতি দেয় সরকার। তখন বাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার শর্তে প্রায় ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
তানা তিন মাস বর্ধিত ভাড়ায় বাস-গণপরিবহন চলার পর শনিবার (২৯ আগস্ট) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে আগের ভাড়ায় বাস-গণপরিবহন চলাচল করবে।
একই দিনে পূর্বের ভাড়ায় গণপরিবহনে যত সিট তত যাত্রী পরিবহন সংক্রান্ত একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গণপরিবহন চলাচলে চার শর্ত দিয়েছে সরকার।
চারটি শর্ত হলো:
১. আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোন যাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
২. যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, হেল্পার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিতদের মাস্ক পরিধান/ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান-পানি/হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৩. যাত্রার শুরু ও শেষে বাস-মিনিবাসগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়াও যানবাহনের মালিকগণকে যাত্রীগণের হাতব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি মেনে চলতে হবে।