আব্দুর রহিম: ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
আবারও সেই নেশা গ্রস্ত ডাক্তারের ভুল সিজার অপারেশনের কারণে রিনা খাতুন (৩২) নামের এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ই আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর শুভ ক্লিনিক এন্ড প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার অপারেশন করার সময় টেবিলেই তার মৃত্যু হয়।
মৃত রিনা খাতুন মহেশপুর উপজেলার হাবাশপুর স্কুল পাড়া গ্রামের সামাউল ইসলামের স্ত্রী। এদিকে ক্লিনিক মালিক সুভাষ কুমার রোগীর আত্মীয় জনদের সাথে দফা রফায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
মৃত রিনা খাতুনের স্বামী সামাউল ইসলাম জানান, ক্লিনিক মালিক আমার বৌ কে মেরে ফেলেছে। আমি তার বিচার চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাতিবিলা গ্রামের কয়েকজন জানান, ভাড়া করা নেশাগ্রস্ত ডাক্তার সোহেল রানাকে দিয়ে শুভ ক্লিনিক এন্ড প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক সুভাষ কুমার প্রায় দিনে ও রাতে বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করে আসছিলো। তারা আরো জানান, ঝাড়ুদার হয়েছে নার্স আর সুইপার যদি আয়া হয় আর এক জন মাতাল ডাক্তার দিয়ে যদি অপারেশন করানো হয় তাহলে তো রোগী মারা যাবেই।
মাত্র ৮ দিন পূর্বে নেপামোড়ের মা ও শিশু ক্লিনিক ও একই এলাকার একতা ক্লিনিকে ভুল সিজার অপারেশন করার সময় নেশাগ্রস্ত ডাক্তার সোহেল রানার হাতে সীমান্ত এলাকার জিনজিরা পাড়ার মরিয়ম খাতুন ও সালমা নামের দু’ প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়। একের পর এক প্রসূতি মায়েদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের যেন ঘুম ভাংছেনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার আনঞ্জুমান আরা খাতুনের সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করালে তিনি বলেন, আপনার মাধ্যমে জানলাম তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের একজন কর্মকর্তা বলেন ইতিপূর্বের ন্যাপা মোড়ের দুইটা ক্লিনিকের রুগী মৃত্যুর তদন্তে রিপোর্ট দেরিতে আসায় ব্যবস্থা নিতে দেরি হল। তবে আজই মহেশপুরের মা ও শিশু হাসপাতাল ও একতা প্রাঃ হাসপাতাল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে চিঠি করা হচ্ছে এবং আজই ক্লিনিক মালিকদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে।