গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিহত দীপ্তের বাবা শহীদুল ইসলাম মাজু
ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম দীপ্তর মৃত্যুর সঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলার কোনো সম্পর্ক নেই। এ সংক্রান্ত মামলায় বন্ধুদের না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন করেছেন দীপ্তের বাবা ও বন্ধুরা।
গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দীপ্তর বন্ধু রাশেদ স্বর্ণ বাবু। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আব্দুল্লাহ সানি ও মো. তামিজিদ রায়হান প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দীপ্তের বাবা শহীদুল ইসলাম মাজু।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম দীপ্ত গত শুক্রবার রাতে (৩০ আগস্ট) ঢাকার কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় দীপ্তর মৃত্যু হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন তার বন্ধুরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুর্ঘটনার পর আহত দীপ্তর মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়। নিলয় নামে এক পথচারী দীপ্তকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বন্ধে একটি অস্ত্রোপচার ও আইসিইউ সেবা পেতে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। আইসিইউ বেড ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা বাবদ ৭ হাজার টাকা দাবি করা হয়। দীপ্তর স্বজনরা না থাকায় টাকা না পেয়ে তাকে চিকিৎসা সেবা না দিয়ে জরুরি বিভাগের মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। পরের দিন শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে দুপুর নাগাদ সঞ্জয় পাল জয়সহ অন্য বন্ধুরা হাসপাতালে আসেন এবং বিনা চিকিৎসায় দীপ্তর মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
সেদিন রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও দুটি মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়। এ সময় হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বিনা চিকিৎসায় দীপ্তর মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার বন্ধুদের মামলায় জড়ানো হয়। এমনকি দীপ্তর কাতার প্রবাসী বন্ধুকেও আসামি করা হয়েছে।
দীপ্তর বাবা শহীদুল ইসলাম মাজু প্রকৃত সত্য উদঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।