বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে বৃহৎ আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রতীমা বিসর্জনে সমাপন ঘটেছে শারদীয় দুর্গাপূজার। এই বিসর্জনে ভক্ত, পূজারী, পর্যটক ও দর্শনার্থীসহ হাজারো মানুষের সমাবেশ ঘটে। বিজয়া দশমী বিসর্জন অনুষ্ঠান অসাম্প্রদায়িক চেতনার মিলন মেলায় পরিণত হয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতীমা নিয়ে কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্টের জেলা প্রশাসনের উন্মুক্ত মঞ্চে জড়ো হতে শুরু করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ও উলুধ্বনি করে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে আসেন তারা। এসময় অনেকের চোখে পানি দেখা যায়। এরপর উন্মুক্ত মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন আগত দর্শনার্থীদের স্বাগত জানিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল বলেন, ‘এবার কক্সবাজারের ৯টি উপজেলার ৩২১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫১টি প্রতীমা ও ১৭০টি ঘটপূজা। আজ বিকেল ৫টার দিকে মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে একযোগে সব প্রতিমা সাগরে বিসর্জন দেওয়া হয়। দেশের সর্ববৃহৎ সৈকতে প্রতীমা বিসর্জন উৎসব শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করেছি, কক্সবাজার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য স্থান।’এদিকে, প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে ছিল তাদের নিরাপত্তা বলয়। সাদা পোশাক ধারী ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য ছাড়াও জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম সার্বক্ষণিক মাঠে ছিল। সিসি টিভি ক্যামেরা ও ড্রোনসহ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিল পুরো সমুদ্রসৈকত।