ওয়েলবিং ফর মেকারস প্লাটফর্ম এর উদ্যোগে “মেকিং ইঙ্ক্লুসিভ বিজনেস রিজিলিয়েন্ট” শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারে সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা, বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে কীভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা যায় এবং সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে এ ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ডাঃ রেজুয়ানা রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার খেন মং সেমিনারে তাঁদের অভিজ্ঞতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে তাঁদের অবদানের উদাহরণ তুলে ধরেন। তারা উল্লেখ করেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক প্রবাহে যুক্ত করার জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দও তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও পরামর্শ প্রদান করেন।
বিশিষ্ট গবেষক এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রধান অতিথির বক্তব্যে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। দেশকে অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে উন্নত করতে হলে, প্রত্যেককে তাঁর নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।”
সেমিনারের শেষ পর্যায়ে ডঃ রেজুয়ানা রহমান এবং
ইঞ্জিনিয়ার খেন মং কে যথাক্রমে স্বাস্থ্য খাত ও গার্মেন্ট সেক্টরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শ্রমিকদের কল্যাণে অবদানের জন্য সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আয়োজকদের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা তুলে দেন প্রধান অতিথি ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি তাঁদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “ডাঃ রেজুয়ানা রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার খেন মং-এর উদাহরণ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক। তাদের মতো করে যদি আমরা প্রত্যেকেই নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করি, তবে আমাদের সমাজ আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ হতে বাধ্য।”
অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে উপস্থিত সকল অতিথিবৃন্দ অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এই সেমিনারের মাধ্যমে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধারণা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়, যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।