ছবি: তন্দ্রাবতীর সৌজন্যে
এসেছে শিউলি ফুলের দিন। শিউলি বলেছে শরৎ এসেছে। আর শরৎ বলেছে, এসেছে দুর্গা পূজা। প্রকৃতি সেজেছে হালকা ও গাঢ় সবুজ রঙে। উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে শিশু, নারী, পুরুষ সবার মনে। ফ্যাশন ডিজাইনাররা পোশাকের জমিনে ফুটিয়ে তুলেছেন শরৎয়ের শিশির ধোয়া শিউলি ফুলের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।তন্দ্রাবতী ফ্যাশন হাউসের স্বত্বাধিকারী মাসুদা তাসনীম তরী বলেন, কোনো কোনো শাড়িতে এঁকেছি কচি সবুজ রঙের মাঝে ধবধবে সাদা শিউলীফুল। আবার কোনো কোনো শাড়িতে কচি (হালকা) সবুজ পাতার মাঝে সাদা শিউলি ফুল। এই রং ও মোটিফে উৎসব ও শীত সামনে রেখে তৈরি করেছেন কামিন, ওড়না। শিশুদের জন্য জামা, ফতুয়া। আর পুরুষের জন্য পাঞ্জাবি।
মাসুদা তাসনীম তরী বলেন শিউলি ফুলের মোটিফ দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ব্লক প্রিন্টও নিয়ে এসেছি। ব্লক প্রিন্টে শাড়ি, ব্লাউজ, শাল, ওড়না, বাচ্চাদের জামা, নতুন মা আর ছোট্ট বাবুর জন্য আরামদায়ক পোশাক তৈরি করেছি।আমি সাধারণত ফ্যাব্রিক হিসেবে টাংগাইলের তাঁতের কাপড় বেছে নেই, তবে শাল এর বেলায় উলেন এ প্রিন্ট করেছি।বাচ্চাদের জন্য নরম ভয়েল বেছে নিয়েছি। এতে রং ও নকশার মান ভালো পেয়েছি।এক্সক্লুসিভ হিসেবে মসলিনে সবচেয়ে মনের মত কাজ করতে পেয়েছি, তবে চড়া দামের কারণে তার চাহিদা কিছুটা কম। আমি যখন কোন ডিজাইনের জন্য রঙ বাছাই করি, আমি তখন নিজেকে প্রকৃতিতে নিয়ে যাই। সকালের শিউলি এঁকেছি নরম সবুজ রংয়ে, এরপর শরৎয়ের ফুল বলে এঁকেছি আকাশি আর নীল জমিনে। রাতে ফোঁটে বলে কালো আর গাড় নীল এ শাল করেছি। ছোট্ট খুকির জন্য টুকটুকে লাল, আর ফুলের রঙের কন্ট্রাস্টে সাদা আর কমলায়।’
মাসুদা তাসনীম তরী বলেন, ‘ভালোবাসা যেমন বয়স মানে না, শিউলি ও ঠিক তাই। ছোট্ট বাচ্চা থেকে বয়োবৃদ্ধ সকলের পছন্দের শীর্ষে আমি আমার শিউলিকে পেয়েছি।’