কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বাঁশ ও কাঠের ভাঙা সাঁকো হেঁটে পার হওয়ার সময় মাঝখানে সন্তান প্রসব করেছেন গৃহবধূ। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের সবুজপাড়ায় কদমতলী খালের উপর থাকা সাঁকোর উপর তিনি মেয়ে সন্তান প্রসব করেন।
স্থানীয়রা তারা জানান, বিলকিছ বেগমের স্বামীর বাড়ি রৌমারী উপজেলার যাদুরচর গ্রামে। তিনি সন্তানসম্ভবা হওয়ায় কয়েক দিন আগে রৌমারী সদর ইউনিয়নের শুতির পাড়ে তার বাবা আহমদের বাড়িতে আসেন। শনিবার দুপুরে বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার প্রসব বেদনা শুরু হয়। কয়েকজন মিলে তাকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিচ্ছিলেন। ভাঙ্গা থাকায় সাঁকোর উপর যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এ কারণে বিলকিছ বেগমকে নিয়ে হেঁটে সাঁকো পার হচ্ছিলেন তার আত্মীয়সহ কয়েকজন নারী। সাঁকোর মাঝামাঝি আসার সময় প্রসব বেদনা তীব্র হলে সেখানে শুয়ে পড়েন বিলকিছ বেগম। পড়ে স্থানীয়দের সহায়তায় সাঁকোর উপরই তার সন্তান প্রসব হয়।
বিলকিছের বাবা আহমদ আলী বলেন, ‘যাদুচরে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। মেয়ে সন্তানসম্ভবা হওয়ায় তাকে আমার বাড়িতে নিয়ে এসে রেখেছিলাম। মেয়ের প্রসব বেদনা ওঠায় তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সাঁকোর উপর কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক সাঁকোর উপর সন্তান প্রসবের ঘটনা নিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন। পরে ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপোযোগী হলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ব্যবস্থা নেয়নি। সেখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হলে প্রসুতি মা বা রোগীরা গাড়িতে করে হাসপাতালে যেতে পারবে।
শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খবর পাওয়ার পর বিলকিছ বেগম ও তার সন্তানকে দেখতে গিয়েছি। সাঁকোর জায়গায় ব্রিজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করব।’