ঘরের মাঠেও তাহলে ভারতের এই অবস্থা হয়! হোয়াইটওয়াশের স্মৃতি তো ভুলতেই বসেছিল ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা। তবে পুরোপুরি বিস্মৃত হবার আগেই আরেকবার ফিরিয়ে আনলো নিউ জিল্যান্ড। মুম্বাই টেস্টে ভারতকে ২৫ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলো নিউ জিল্যান্ড। ২৪ বছর পর ঘরের মাঠে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ পেল রোহিত শর্মার দল।
মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় দিন শেষেও ভারতকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছিলো। লিড নেওয়ার পর শেষ বিকেলে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। তৃতীয় দিন সকালের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে দিয়ে কাজটা আরও সহজ করে দিলেন বোলাররা। তবে ব্যাটাররা তাদের ব্যর্থতা বজায় রাখলেন। ঋষভ পন্ত চেষ্টা করেও পারলেন না। ফলাফল, ধবলধোলাই।
নিউ জিল্যান্ড লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল ১৪৭। এই রান তাড়া করতে নেমে উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন ভারতীয় ব্যাটাররা। একপ্রান্ত আগলে জয়ের দিকে যেতে চেষ্টা করলেন পন্ত। তবে বাকিদের ব্যর্থতায় ১২১ রানেই শেষ হলো ভারতের ইনিংস। পন্তের ৬৪ রানের ইনিংস হয়ে থাকলে পরাজয়ের স্বাক্ষী।
ব্যাট করতে নেমে রোহিত আউট হলেন ১১ রানে। সরফরাজ আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ১ রানের মাথায় ছুঁড়ে দিলেন উইকেট যশস্বী জয়সওয়াল (৫) বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হলেন। শুভমান গিলও পারলেন না ধস ঠেকাতে, আউট হলেন ১ রানে। কোহলিও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে না পেরে ১ রানেই ফিরে গেলেন। তাতে ৭.১ ওভারে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২৯।
এর পর আর কেউই চাপ সামলাতে পারেননি। রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৮), আকাশ দীপ (শূন্য), ওয়াশিংটনেরা (১২) ধারাবাহিকভাবে আউট হলে জয় থেকে ২৫ রান দূরে থাকতেই মুখ থুবড়ে পড়ে ভারত। স্বাক্ষী হয় ঘরের মাঠে লজ্জার।
ভারতের ইনিংস একাই ধসিয়ে দেন এজাজ। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৬ উইকেট নিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই স্পিনার। ৫৭ রানে ৬ উইকেট নিলেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১২ উইকেট শিকার করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও এজাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৩৫
ভারত ১ম ইনিংস: ২৬৩
নিউ জিল্যান্ড ২য় ইনিংস: ১৭৪
ভারত ২য় ইনিংস: ১২১
ফল: নিউ জিল্যান্ড ২৫ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে নিউ জিল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এজাজ প্যাটেল।