বিশ্বে কমপক্ষে ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষ, বা ৬৯ জনের মধ্যে একজন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংঘাত ও সহিংসতা, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ফলে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ২০২৪ সালের প্রথম চার মাসে বাড়তে শুরু করেছে। চলতি বছরের এপ্রিলের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা ১২ কোটি অতিক্রম করতে পারে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেছেন, ‘এই তীব্র এবং ক্রমবর্ধমান সংখ্যার পিছনে রয়েছে অসংখ্য মানবিক দুর্ভাগ্য। সেই দুর্ভোগ অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মূল কারণ মোকাবিলা করার জন্য জরুরিভাবে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে।’
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ কোটি ৭৩ লাখ মানুষের মধ্যে ছয় কোটি ৮৩ লাখ মানুষ সংঘাত বা অন্যান্য সংকটের কারণে তাদের নিজের দেশে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজা। এখানে জাতিসংঘের অনুমান জনসংখ্যার প্রায় ৭৫ শতাংশ ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের সংখ্যা ১৭ লাখেরও বেশি। .
আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রমকারী শরণার্থীর সংখ্যা ২০২৩ সালে সাত শতাংশ বেড়ে চার কোটি ৩৪ লাখে হয়েছিল। সুদানে বাস্তুচ্যুতি এবং ইউক্রেন ও অন্যান্য অঞ্চলে চলমান সংঘাতের কারণে এই সংখ্যা বেড়েছে। আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা-যারা তাদের নিজ দেশে নিপীড়ন বা ক্ষতির ভয়ের কারণে অন্য দেশে সুরক্ষা চাইছেন তাদের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ লাখে পৌঁছেছে।