ফিল সিমন্সকে প্রধান কোচ পদে নিয়োগের দিনই সহকারী হিসেবে মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণার কথা ছিল বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদের। কিন্তু কিছু বিষয় ‘অমীমাংসিত’ থাকায় দিনক্ষণ পিছিয়ে যায়।
দুই পক্ষে আলোচনা হচ্ছে তা বোঝা গেল আজ। শনিবার দুপুরে হঠাৎ মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে হাজির সালাউদ্দিন। বিসিবির কোচিং প্রোগ্রামে ‘গেস্ট লেকচারার’ হিসেবে এসেছিলেন। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সহকারী কোচ হওয়ার ইস্যুতে কথার ঝাঁপি খুলে দেন। জানিয়েছেন, বিসিবির সঙ্গে নতুন করে আলাপ হচ্ছে তার।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘(কাজ করা) কেন হয়নি এই কারণগুলো আমি আগেও একবার বলেছি। আমার সঙ্গে কথা হচ্ছে (এখন)। দেখি কী হয়। একেবারে যে ইচ্ছে নেই, তা নয়। ইচ্ছে আছে। কিন্তু সবকিছুই তো…একটা জিনিস আপনাদের বুঝতে হবে আমি বোর্ডের কর্মী নই। আমি শেষ ১০ বা ১৫ বছর ধরে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নই। ’
‘দীর্ঘ ১৫ বছর আমার পেট চালাতে হয়েছে বাইরের অর্গানাইজেশনের সঙ্গে। কোনো কিছু আমার হুট করে ফেলা আসাও সম্ভব না। আমি যদি বোর্ডের কোচ হতাম, যখন বলতো তখনই আমি ঢুকে যেতে পারতাম। কিন্তু এখানে তো আমার অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়। ’
‘কারণ তারা আমাকে এত বছর খাইয়েছে, পরিয়েছে। তাদেরকে তো আমি হুট করে ফেলে আসতে পারবো না। সবকিছু একটা সময়ের ব্যাপার এবং চিন্তা-ভাবনার ব্যাপার। সবকিছু যেন সুন্দর হয়, এটা হলে সবার জন্যই ভালো হবে।’- যোগ করেন তিনি।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের সহকারী কোচ এবং ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে থাকা সালাউদ্দিন হচ্ছেন সহকারী কোচ।