ছুরিকাঘাতে আহত আতিকুল ইসলাম সাদ্দাম
রাজশাহীর আদালত চত্বরে আসামিকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আহত ব্যক্তির নাম আতিকুল ইসলাম সাদ্দাম (২৮)। তিনি রাজশাহীর কাটাখালী থানার বেলঘরিয়া মহল্লার মো. আলাউদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর সামনে আতিকুলের ওপর হামলা করা হয়। মামলার বাদীপক্ষ এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ দুজনকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। তারা হলেন, মো. শাহিন (৪৫) ও তার ছেলে আলিফ ওরফে রাব্বি (১৮)। কাটাখালী পৌরসভার শ্যামপুর পশ্চিমপাড়া মহল্লায় তাদের বাড়ি।
শাহিনের মেয়ে শাহরিন আক্তার আরিফার সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল আতিকুলের। বিয়ের সময় শাহরিনের পরিবারকে বলা হয়, আতিকুল অবিবাহিত। কিন্তু তিনি প্রতারণা করে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ অভিযোগে শাহরিনের মা লাভলী বেগম আদালতে আতিকুল ও তার মা-বাবাসহ চারজনের বিরুদ্ধে নালিসি মামলা করেন।
আদালতের স্টেনো টাইপিস্ট মনজুরুল হক জানান, মামলার নির্ধারিত দিনে বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান চার আসামি। এ সময় আদালতের বিচারক মো. মাসুদুজজ্জামান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর আসামিরা আদালত থেকে বের হয়ে ফাঁকা জায়গায় গেলে আতিকুলের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় আদালত চত্বরে থাকা পুলিশ দুজনকে ধরে ফেলে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাদের রাজপাড়া থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শঙ্কর কে বিশ্বাস জানান, আতিকুলের শরীরের কয়েকটি স্থানে কাটা জখম হয়েছিল। তবে গভীর ক্ষত নয় বলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে আতিকুল দাবি করেন, মামলার বাদী লাভলী বেগম, তার স্বামী শাহিন এবং তাদের ছেলে রাব্বিসহ ৪-৫ জন তাকে ছুরিকাঘাত করেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ছুরি জব্দ করে পুলিশকে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে আতিকুল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। আতিকুলের সঙ্গে শাহরিন আক্তারের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে কি-না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, আটক দুজনকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ব্যক্তি মামলা দায়ের করবেন।