ঈদুল আজহায় সড়ক-মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও যানজট নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পশুবাহী গাড়িগুলোকে যেখানে সেখানে রেখে যানজট সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (১৪ জুন) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্মরণকালের সেরা সড়ক শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই হয়েছে। সড়কে চাপ আছে যানজট নেই। গত ঈদের তুলনায় ভোগান্তি হবে না।
তিনি বলেন, গত কয়েকটি বছর ঈদযাত্রা স্বস্তিকর হয়েছে। ফিরতি যাত্রায় কয়েকটি দুর্ঘটনা হয়েছে। এবার আমরা আরো সতর্ক হয়েছি। এবার চাপ আছে, যানজট নেই। সড়কে চাপ হবে। তবে রাস্তার জন্য যানজট হয়নি। কোরবানি ঈদের সময় পশুর হাট চাপ সৃষ্টি করে। পশুবাহী গাড়ি, পশুর হাট যততত্র বসিয়ে জনদুর্ভোগ করবেন না।
বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ এড়ানো খুব কঠিন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, গতবারও বৃষ্টি ছিল। গতকালও হঠাৎ বৃষ্টি হয়েছে। যে ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে এসেছি ৩২ মিনিট নামতে পারে নাই।
বাজেট প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজেট নিয়ে আলোচনা সমালোচনা আছে। দীর্ঘ চিন্তা-ভাবনার পর এ বাজেট করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে সরকার। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও মূল্যস্ফীতি রয়েছে।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। বিএনপির চেয়ারম্যান থেকে আগাগোড়ায় সবাই দুর্নীতিবাজ। বিএনপির আমলে দুর্নীতির বিচারের নজির নেই, সৎ সাহসও ছিল না। শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজদের বিচারের সৎ সাহস রাখেন, প্রমাণিত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) নিজেই স্বাধীন নেই। তারেকের স্বার্থেই ফখরুলকে সংসদ থেকে বাইরে রেখেছে। তারেকের অনুপস্থিতিতে কাউকে নেতা হতে দেবে না, ফখরুল নিজেও অনুধাবন করেন।
তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থা বিএনপির বিরুদ্ধে গেলে তারা বিচার মানেন না। তারেক সাজাপ্রাপ্ত তাকে সাজা ভোগ করাতে হবে, ভালো মানুষ সাজানোর কোনো পথ নেই। আইন অমান্য করে কেনো তারেক রহমান ভার্চুয়ালি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে এমন উত্তরও ফখরুলকে দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুর্নীতিবাজ কেউ নেতা হতে পারবে না। অথচ তারা নেতা বানিয়েছে। গণতন্ত্রের নামে বর্ণচোরারা যতদিন থাকবে ততদিনই এদেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের মূল্যবোধ ধ্বংস হবে।
তিনি বলেন, এদেশকে ধ্বংসের হাত থেকে শেখ হাসিনাই তুলে এনেছে। গত ১৫ বছর আগের এদেশের অর্থনীতি কেমন ছিল দেখলে বোঝা যাবে এদেশের কেমন পরিবর্তন হয়েছে।
এমপি আনার হত্যার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার ইস্যুতে তিনি বলেন, মামলা হওয়ার আগে কাউকে অপরাধী বলা যায় না। তবে অভিযুক্ত হলে কারো ছাড় নেই।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।