গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বাইরে জাতীয় দলের জার্সিতে খেলছেন সাকিব আল হাসান। পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক দুই টেস্টের পর বর্তমানে দলের সঙ্গে ভারতে আছেন সাকিব। চেন্নাই টেস্ট খেলেছেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। সামনে কানপুর টেস্টের পর সাকিবকে দেখা যাবে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে।
বাংলাদেশের পরের দ্বিপক্ষীয় সিরিজ অক্টোবরে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সাকিবকে দেশের মাটিতে সিরিজে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কেননা, সরকার পতনের পর সাবেক সংসদ সদস্য সাকিবের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে এবং তাকে দেশে ফেরাতে আইনি নোটিস বিসিবিতে পাঠানো হয়েছে। বিসিবিও পাল্টা নোটিস পাঠিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। বিসিবি সাফ জানিয়েছে, দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত সাকিব খেলা চালিয়ে যাবেন।
সাকিব দেশে ফিরলে কোনো ঝামেলায় পড়বেন কি না, তা নিয়েই উৎকণ্ঠা আছে। তবে, সেই উৎকণ্ঠা উড়িয়ে দিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির ক্রিকেট অপরারেশন্স ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস।
তিনি বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, মাননীয় আইন উপদেষ্টা এবং মাননীয় ক্রীড়া উপদেষ্টা খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন। বাংলাদেশ সরকার থেকেও পরিষ্কার বার্তা আছে, যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলোতে কাউকে অন্যায়ভাবে হেনস্তা করা হবে না। সাকিবের ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের অবস্থান খুব সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছে। চোটের সমস্যা না থাকলে এবং নির্বাচনজনিত কোনো ইস্যু যদি না থাকে, এখন পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের হোম সিরিজে না খেলার কোনো কারণ আমি দেখি না।’
এদিকে, গতকাল মিরপুরে শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবির নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার চার সদস্যের প্রতিনিধিদল। চট্টগ্রাম ও ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। দুটি টেস্ট খেলতে ১৬ অক্টোবর ঢাকায় পা রাখার কথা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের।