ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কি
আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয় দেখতে চান। এই নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এমন সময়ে এই মন্তব্য করলেন যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিনে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। এবার সফরে জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ের বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আসন্ন নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছিল।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি জেলেনস্কি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিক্রেতা। প্রতিবারই তিনি এখানে এসে ৬০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে চলে যান। তিনি চান যে ডেমোক্র্যাটরা এই নির্বাচন জিতুক, কিন্তু আমি অন্যভাবে কাজ করব – আমি শান্তি আনব।’
এ ব্যাপারে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় সাড়া দেয়নি।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে বলেছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সফররত জেলেনস্কির সাথে ‘সম্ভবত’ বৈঠক করবেন। তবে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মতে, কোনও বৈঠক এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
জেলেনস্কি গত রোববার কমলা হ্যারিসের মিত্র ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর জোশ শাপিরোর সাথে পেনসিলভানিয়ায় একটি অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেছিলেন। নির্বাচনী যুদ্ধের এই সময়ে ডেমোক্র্যাটদের সাথে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পেনসিলভানিয়া সফর ট্রাম্পের কিছু সহযোগীকে ক্ষুদ্ধ করেছে। পেনসিলভানিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইউক্রেনীয়-আমেরিকান রয়েছেন। ডেমোক্র্যাটদের সাথে জেলেনস্কির সফরটি ডেমোক্র্যাট ভোটার বাড়াবে বলে মনে করছেন রিপাবলিকানরা।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ইউক্রেনকে বহু বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্রদান করেছে এবং মস্কোর বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে ট্রাম্প ইউক্রেনের জন্য ক্রমাগত মার্কিন সহায়তাকে অর্থের অপচয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং কখনোই প্রকাশ্যে বলেননি যে তিনি ইউক্রেনের বিজয় চান।
বিবিসির সাথে জুলাইয়ে এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছিলেন, ট্রাম্পের সাথে কাজ করা হবে ‘কঠিন কাজ’, তবে আমরা কঠোর পরিশ্রমী।’
পশ্চিমা বিশ্ব মনে করে, রাশিয়া একটি সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ চালাচ্ছে। তবে পুতিন ইউক্রেন আক্রমণকে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে চিত্রিত করেছেন।