রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কার্যালয় ‘জনগণের সম্পদ’ উল্লেখ করে বাড়িটি উদ্ধারে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি। গত ৫ নভেম্বর তিনি দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর এ আবেদন করেন।
লিখিত আবেদনে মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, রাজধানীর ৬৬ নম্বর পাইওনিয়ার রোডে অবস্থিত বাড়িটি, যা এতদিন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, সেটি মূলত এস আলমের মালিকানাধীন একটি বাড়ি। এস আলম ইউনিয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে তার মেয়ের নামে বাড়িটি কেনেন। বর্তমানে বাড়ির দলিল ইউনিয়ন ব্যাংকে জামানত হিসেবে রয়েছে। ইউনিয়ন ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার হিসেবে এস আলম সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বাড়িটি ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। এরশাদের মৃত্যুর পর তার ভাই জিএম কাদের বাড়িটিকে জাতীয় পার্টির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন।
এস আলমের অর্থায়নে জিএম কাদের পার্টি পরিচালনা করছেন উল্লেখ করে মোশারফ হোসেন অভিযোগ করে আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর এস আলমের মালিকরা পলাতক রয়েছেন এবং তার যাবতীয় সম্পদ বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের আওতায় রয়েছে। ফলে ৬৬ নম্বর পাইওনিয়ার রোডের বাড়িটিও সরকারের মালিকানায় থাকার কথা।
যেহেতু জনগণের সম্পদ লুট করে এস আলমের মালিক বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন, সেহেতু এই বাড়িটিও এখন জনগণের সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। সুতরাং বাড়িটি বিক্রি করে সেই অর্থ জনগণের কাজে ব্যবহার করা কিংবা সরকারি সম্পত্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও দুদক বরাবর আবেদনে উল্লেখ করেছেন মোশারফ হোসেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত করে, যারা বাড়িটি এতোদিন অবৈধভাবে ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন আবেদনকারী।