ভারতে জাতীয় দলের খেলা না থাকলে ক্রিকেটারদের জন্য ঘরোয়া টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফিতে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) সেই পথে হাটতে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছে ক্রিকেট বোর্ড।
আগামীকাল শনিবার থেকে পর্দা উঠতে যাচ্ছে ২৬তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের। তার আগে আজ শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এমন ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তার মতে এটাই হওয়া উচিত জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার একমাত্র বেঞ্চমার্ক।
‘না এটা (অংশগ্রহণ) খুব জরুরি। যারা অ্যাভেইলেবল থাকবে তাদের শুধু খেলাটাকে কম্পিটিটিভ করার জন্য না, তাদেরও টাচে থাকা দরকার। সে জন্য দরকার এবং খেলাটাকে প্রতিযোগিতামূলক করার জন্যও দরকার। এনসিএলকে যদি আমরা গুরুত্ব দেই, ওটাকে যদি আমরা যদি বেঞ্চমার্ক হিসেবে ধরি সিলেকশনের ব্যাপারে, তখন মনে হয় সবাই কিছুটা হলেও বাধ্য হবে এখানে আসতে।’
জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের এনসিএলের মতো টুর্নামেন্টে অনীহা দেখা যায়। অনেকে সুযোগ থাকলেও এখানে খেলতে চান না। ফাহিম এমন একটা সংস্কৃতি তৈরি করার কথা বলেছেন যেখানে সবাই খেলতে বাধ্য হবে।
‘আমার মনে হয় এই সংস্কৃতিটা তৈরি করা দরকার, না এখানে খেলতেই হবে। আমরা যদি ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে থাকি তাহলে এটা হবে না। এটা এমন না যে সবাইকে খুশি করার বিষয়। কেউ কেউ অখুশি হতে পারে। কিন্তু একটা সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা দরকার। যেটা সবাই মানতে বাধ্য হবে।’
ক্রিকেটার নয় শুধু, বোর্ডের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম হবে। এর আগে কর্তাদের মাঝেও এসব টুর্নামেন্ট নিয়ে একধরণের অনীহা দেখা যায়। এবার বিসিবি থেকে মাঠে থেকে নজরদারির কথাও বলেছেন ফাহিম। শুধু তাই নয়, জাতীয় দলের কোচও যেন এনসিএল দেখেন সেটিও ভাবছেন তারা।
‘আমরা কিন্তু খুব গুরত্ব দেব। এতদিন বাইরে থেকে এটাই বলে আসছি যে এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ক্রিকেটের জন্য। আমাদের দিক থেকে আমরা গুরত্ব দেব। সবচেয়ে বড় যেটা হচ্ছে আমরা চেষ্টা করবো মাঠে থাকতে। মাঠে গিয়ে নিজরা ফিল করবো যে আসলে কী হচ্ছে।’সবমিলিয়ে বোর্ডের চাওয়া চারদিনের এই টুর্নামেন্ট যেন মানদণ্ডে পরিণত হয়। ক্রিকেটাররাও যাতে এখানে খেলার জন্য উন্মুখ থাকে। এনসিএলকে এমন একটি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট করার কথা ভাবছে বোর্ড। এনসিএলে ক্রিকেটারদের জন্য মনোবিদের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে এবার।
ফাহিম বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের একজন মনোবিদ আছে। যিনি প্রয়োজনে আসেন, এইচপিতে কাজ করেন। তার সঙ্গে নিয়মিত জাতীয় লিগের কোচ-অধিনায়করা বেশ অনেকগুলো সেশন করবে অনলাইনে। ধারণাটা হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ক্রিকেট কীভাবে খেলানো যায়, ওই সংস্কৃতিটা কীভাবে আমরা এখানে ঢোকাতে পারি।’