সাইফপাওয়ারটেক ৩৬তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিকেএসপি। মোট ৮৪টি সোনা, ৫৭টি রুপা ও ১৬টি ব্রোঞ্জ পেয়ে বিকেএসপি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ ছাড়া ৫টি সোনা, ৭টি রুপা ও ২২টি ব্রোঞ্জ পেয়ে রানার্সআপ কিশোরগঞ্জ নিকলী সুইমিং ক্লাব।
ছেলেদের বিভাগে সেরা সাঁতারু হয়েছেন বিকেএসপির মোহাম্মদ তোফায়েল। তিনি জিতেছেন ৯টি সোনা ও ১টি রুপা। এর মধ্যে ২টি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ডও রয়েছে নিকলীর এই সাঁতারুর। বিকেএসপির দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র তোফায়েল ২০১৪ সালে প্রথম বয়সভিত্তিক সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু এর আগে কখনও সেরা সাঁতারু হতে পারেননি। এবার অধরা স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে দারুণ খুশি, ‘এবার আমার আত্মবিশ্বাস ছিল সেরা সাঁতারু হতে পারব। আমার প্রস্তুতি ভালো ছিল। অনেকগুলো ইভেন্টে অংশ নিয়ে একটু কষ্ট হয়েছে। কিন্তু সেই কষ্ট ভুলে গেছি সেরা সাঁতারু হওয়ার পর। আমি দেশের হয়ে একদিন এসএ গেমসে সোনা জিততে চাই।’
মেয়েদের বিভাগে সেরা সাঁতারু হয়েছেন মোছা. অ্যানি আক্তার। বিকেএসপির এই সাঁতারু ১২টি সোনা জিতেছেন। এর মধ্যে ৫টিতেই গড়েছেন নতুন জাতীয় রেকর্ড। অ্যানির অবশ্য সেরা সাঁতারু হওয়ার অভিজ্ঞতা এই প্রথম নয়। এর আগে আরও ২ বার হয়েছেন সেরা। ২০১৯ ও ২০২২ সালের পর আবারও সেরা হতে পেরে উচ্ছ্বসিত কুষ্টিয়ার আমলার কিশোরী, ‘দ্বিতীয় দিনে আমি অনেক পেছনে পড়ে গিয়েছিলাম। কোনো রেকর্ড হয়নি সেদিন। ভেবেছিলাম এবার হয়তো আমি সেরা সাঁতারুর পুরস্কার পাব না। কিন্তু পরের দুই দিন আবারও নিজের সেরা টাইমিং করে সাঁতরেছি। শেষ পর্যন্ত সেরা হতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
যদিও নিজের টাইমিং নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে অ্যানির, ‘এই টাইমিং নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো কিছু করা অসম্ভব। এজন্য আমাকে টাইমিংয়ে আরও উন্নতি করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে মঙ্গলবার শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০টি ইভেন্ট। এর মধ্যে শেষ দিনে হয়েছে আরও ৪টি রেকর্ড। সব মিলিয়ে সাঁতারে রেকর্ড হয়েছে ২০টিতে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সভাপতি এডমিরাল এম নাজমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বদরুল সাইফ। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি তরফদার রুহুল আমিন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।