ইউরোপের দেশ গ্রীসে গ্রীষ্মের শুরুতেই দেখা দিয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহ। বুধবার (১২ জুন) তাপপ্রবাহের জেরে রাজধানী এথেন্সজুড়ে আগামী দুই দিনের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া জনপ্রিয় প্রাচীন দর্শনীয় স্থান অ্যাক্রোপলিস বন্ধ রাখা হয়। রাজধানীর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো নতুন করে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান অ্যাক্রোপলিস। রেড ক্রস কর্মীরা পর্যটকদের হাতে পানির বোতল তুলে দিয়েছে।
ভূমধ্যসাগরীয় দেশটির কিছু অঞ্চলে বুধবার ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
ইউরোপে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম গ্রিস। গত বছর গ্রীষ্মে মধ্য গ্রিসে সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তীব্র দাবদাহের মধ্যে ভয়াবহ দাবানলের শিকার হয় দেশটি। এ ছাড়া প্রবল বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন অঞ্চলে রেকর্ড বন্যা হয়। এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানিও হয়।
পর্তুগাল, ফ্রান্স, স্পেন এবং ইতালিসহ দক্ষিণ ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে গত বছর একই রকম পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। দাবানলের কারণে কয়েক ডজন জনের মৃত্যু হয়েছিল।