দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন ৩৩ জনসহ এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চার হাজার ২৮১ জনে। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ১৭৪ জন। এনিয়ে দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হলো তিন লাখ ১২ হাজার ৯৯৬ জনে। একই সময় সুস্থ্য হয়েছেন আরও ২ হাজার ৯৮০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৪ হাজার ৮৮৭ জন।
সোমবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার ৮৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৪৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ১৫ লাখ ৫০ হাজার ২০৩টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ১২০টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১১ হাজার ৯৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪৯-এ।
যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের এবং বাড়িতে একজনের। এদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২০ জন ছিলেন। ঢাকা বিভাগের ছিলেন ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগের একজন, বরিশাল বিভাগের একজন এবং রংপুর বিভাগের ছিলেন একজন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম দেখা দেওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ, অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে। বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।