বাশার আল-আসাদ
অবশেষে জানা গেল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অবস্থান। সরকার পতনের পর তার অবস্থান নিয়ে যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়, তা কেটে গেছে। তার মৃত্যুর যে শঙ্কা করা হচ্ছিল, তাও সঠিক নয়। তার সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে যে সব দেশের নাম বলাবলি হচ্ছিল, তার একটি রাশিয়া। আর রাশিয়াতে হয়েছে বাশারের আশ্রয়।
বিবিসি লিখেছে, বিদ্রোহী যোদ্ধারা শনিবার রাতে যখন দামেস্কে প্রবেশ করছিলেন, তখন দামেস্ক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় একটি উড়োজাহাজ। ‘সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮ ফ্লাইটটি’ দামেস্ক থেকে উড়াল দেওয়া সর্বশেষ ফ্লাইট ছিল বলে জানিয়েছে ফ্লাইটরাডার ২৪।
বিশ্বজুড়ে উড়োজাহাজ চলাচলের ওপর নজর রাখা ফ্লাইটরাডার ২৪-এর তথ্যানুযায়ী, দামেস্ক থেকে উড়োজাহাজটি প্রথমে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে উড়ে যায়। সেখান থেকে পরে আবার উল্টোপথে যাওয়া শুরু করে। কয়েক মিনিট পর সেটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। তিনি কোন দেশে গেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাচ্ছিল না।
পরে বাংলাদেশ সময় রবিবার রাত ১২টার দিকে রুশ বার্তা সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাশার মস্কোয় পৌঁছেছেন। সেখানে তাদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য এর আগে বাশারের মৃত্যুর শঙ্কা নিয়েও খবর দিয়েছিল রয়টার্স। সেখানেও অবশ্য ফ্লাইটের গতিপথ পর্যালোচনায় নেওয়া হয় এবং দুজন সিরীয় কর্মকর্তার বরাত দেওয়া হয়।
এদিকে সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে রাশিয়া। আজ সোমবার এই আলোচনা হতে পারে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
শনিবার গভীর রাতে দামেস্কে আক্রমণ চালায় দেশটির বিদ্রোহীরা। এতেই পতন হয় বাশারের সাম্রাজ্যের।