অতি পরিচিত ও সহজলভ্য একটি ফল কলা। পাকা অবস্থায় এটি যেমন খাওয়া হয়, তেমনি খাওয়া যায় কাঁচাও। সবজি হিসেবে কাঁচা কলা খাওয়ার চল রয়েছে আমাদের দেশে। তরকারি কিংবা চিপস বানিয়ে এটি খাওয়া যায়। কেন খাবেন কাঁচা কলা? কী কী উপকার মেলে এতে? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত-
হার্ট ভালো রাখে
সুস্থ থাকতে নিয়মিত হার্টের যত্ন নেওয়া চাই। আর এই অঙ্গটির সুরক্ষায় ভরসা রাখতে পারেন কাঁচা কলায়। কেননা, এটি পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। রক্তনালীকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে এই উপাদানটি। নিয়মিত কাঁচা কলা খেলে হার্টের রোগসহ একাধিক জটিল রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।
শুধু তাই নয়, কাঁচা কলায় উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্টের গুণে কমে প্রদাহ। এমনকী এতে থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল কমায়। ফলে কাছে ঘেঁষতে পারে না হৃদরোগ।
কমায় ওজন
শরীরের ওজন বাড়লে ডায়াবেটিস, প্রেশার, কোলেস্টেরল, হার্টের অসুখের মতো নানা জটিল রোগ সঙ্গী হয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ফাইবারে পরিপূর্ণ কাঁচা কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই উপাদানটি পেট ভরিয়ে রাখে। তাই খিদা কম পায়।
বাড়ায় ইমিউনিটি
আপনি কি প্রায়ই সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় ভোগেন? সেক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন কাঁচকলার ওপর। কারণ, এতে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন ইমিউনিটি বাড়ায়। শুধু তাই নয়, এতে থাকা একাধিক অ্যান্টি অক্সিডেন্টের গুণেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তাই ইমিউনিটি বাড়াতে খাদ্যতালিকায় রাখুন কাঁচ কলা।
ডায়াবেটিস রাখে নিয়ন্ত্রণে
উচ্চ রক্তচাপে ভোগা ব্যক্তিদের অনেক খাবার খাওয়া মানা থাকে। তবে আপনি যদি রোজকার পাতে কাঁচা কলা রাখেন তাহলে অনায়াসে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই সবজির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার। একারণে কাঁচা কলা খেলে কমে সুগার। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত এই সবজি খেতে পারেন।
চোখের জন্যও উপকারী
দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতেও অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে কাঁচা কলা। এতে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। পাশাপাশি হাড়ের জোর এবং এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে এই সবজি। তাই নিয়মিত কাঁচা কলা খান। এতে শরীর ও স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে।