ছবি: প্রতীকী
অফিসে এমন অনেক সহকর্মী পাবেন যারা বসের কাছে ভালো হতে গিয়ে অযৌক্তিকভাবে অন্যদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করতে থাকেন। এতে তিনি নিজেকে একপ্রকার মেরুদণ্ডহীন প্রাণী হিসেবে উপস্থাপন করেন। সাধারণত অফিসের সহকর্মীরা দল, উপদল, ক্ষুদ্র দল বা একক দলে বিভক্ত হয়ে থাকেন। তারপরেও একসঙ্গে চা পান, লাঞ্চ গ্রহন, একে অন্যের জন্মদিন পালন সবই করেন; থাকে না শুধু পারষ্পারিক বিশ্বাস আর শ্রদ্ধা।
ভাষাতাত্ত্বিক কলিম খান ও রবি চক্রবর্তীর মতে, অফিস পলিটিক্স অনেকের মেরুদণ্ড নিয়ে যায়।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, অফিস পলিটিক্স কর্মীর মর্যাদাবোধ ভুলিয়ে দেয়। এবং শেষ পর্যন্ত পরিচয়হীন করে তুলে। এই অবস্থা থেকে নিজেকে বাঁচাতে নির্মোহ বোঝাপড়া প্রয়োজন। কেননা চাকরিটা আপনার সংসারের আয়ের উৎস। এটা সামাজিক কারণে দরকার, অর্থনৈতিক কারণে আরও বেশি দরকার। আবার বেঁচে থাকা এমনটি টিকে থাকার জন্যও দরকার চাকরি। তাই পরিস্থিতি থেকে পালানোর চেষ্টা না করে ইতিবাচকভাবে মোকাবিলা করা প্রয়োজন।
‘টাইমস জব’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অফিস পলিটিক্স মোকাবিলায় আপনার বুদ্ধি ব্যবহার করতে হবে। সতর্ক থেকে অফিসের আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগগুলো পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। অফিস পলিটিক্স মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ উপায় হতে পারে ভালো নেটওয়ার্কিং বা যোগাযোগ। তবে এর অর্থ এই নয় যে অবাঞ্ছিত যোগাযোগে জড়িত হওয়া। সবশেষে মনে রাখতে হবে আন্তরিকতা এবং কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
আপনি যদি আপনার দায়িত্ব আন্তরিকতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সম্পাদন করেন— অফিস পলিটিক্স আপনার ক্ষতি করতে পারবে না। যারা ক্ষতি করতে পারে, এমন সহকর্মীদের সঙ্গে নেটওয়ার্কিং বা যোগাযোগেও আন্তরিকতার প্রকাশ ঘটাতে হবে।